সজনে ডাঁটার শুক্ত, রুই মাছের মুড়ো দেওয়া ভাজা মুগের ডাল, ঝিরিঝিরি আলুভাজা, পটল-আলুর মাখোমাখো তরকারি, রক্তরাঙা ঝোলের মধ্যে দুইখানি অর্ধগোলক আলু সহ অনেকটা কচিপাঁঠা, কাঁচা আমের পাতলা অম্বল। সবার শেষে মিঠে দধি। এইরূপ আকণ্ঠ মধ্যাহ্ন ভোজের পর, গালে গৃহিণীর হাতের পান লইয়া, পয়লা বোশেখের দুপুরটি দিবানিদ্রায় অতিবাহিত হইত, জানালা দরোজা বন্ধ প্রায় অন্ধকার ঘরে। ... ...
নারীর কবিতা পৃথক হবেই ... ...
আপনাদের মতামত চাই ... ...
রবীন্দ্রনাথের সারমর্ম ? হাসালেন ! ... ...
এবার আমাদের কী হবে ? ... ...
কোথায় যে আনন্দধারা বইছে কে জানে ... ...
ওই যে ভাইপো আর কাকতাড়ুয়াবাবু জন্মদিন ছড়িয়েছেন পোস্টারে ... ...
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তেমন যুৎসই শৈল্পিক ভাব আর ভাষার ভাঁড়ার আমার নেই। তবু এই ধুলোমাটির আসল মানুষ সোমনাথ মাইতিদের অমৃত্সমান কথা বলতে ইচ্ছে হলে, আত্মমগ্ন স্বচ্ছল মধ্যবিত্তকে জানানোর ইচ্ছে হলে, কিই বা উপায় করব আর? এঁদের সক্রিয়তাগুলি এতই হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তেমন যুৎসই শৈল্পিক ভাব আর ভাষার ভাঁড়ার আমার নেই। তবু এই ধুলোমাটির আসল মানুষ, ''উদ্যোক্তা কৃষক'' সোমনাথ মাইতিদের কথা বলতে ইচ্ছে হলে, আত্মমগ্ন স্বচ্ছল মধ্যবিত্তকে জানানোর ইচ্ছে হলে, কিই বা উপায় করব আর? এঁদের সক্রিয়তাগুলো এতই বহুধাবিস্তৃত যে, প্রায় সবকথা না বলতেই লেখাখান বেশ লম্বা হয়ে গেল। অবিশ্যি আমি কে এমন হরিদাস পাল যে পাঠক এমন দীর্ঘ লেখা ধৈর্য ধরে পড়বেন! সত্যিই জানিনা। তবু এঁদের কথা লেখাটা, এঁদের যাবতীয় উদ্যোগকে সমাজের সমুখে আনাটা খুব জরুরি, সেই তাগিদ থেকেই এমন লেখা জারি থাকবে আজ আর আগামীতেও!! ... ...
আবার ফিরে এলো ... ...
কতো রকমের কবিতা লেখা হচ্ছে । বেশ ভাল্লাগে পড়তে সবায়ের কবিতা । ... ...
কী বিষয় কী বিষয় ... ...
একাই লড়ে যেতে হয় ... ...
তিস্তা, দীপন বা অদিতিরা এমনই। ওরা সর্বার্থেই ভালো, মানে যাদের আজকালকার টার্মে 'পাগল' বলা হয়। ওরা সেইসব পাগল, যারা নিজেদের ভালোবাসা, সাহস, স্বপ্ন, সদিচ্ছা আর শ্রমের হাতিয়ারে রোজ একটু একটু করে পূতিগন্ধময় পাব্লিকে ভরা এই দুনিয়াটাকে একটা সুন্দরতর জায়গায় বদলে দিচ্ছে। ... ...
দেখছি, সাকিব - সামিউল আর ওদের আরো দুজন বন্ধু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রোজগারের পথে প্রান্তরে। কেউ মাঠে, কেউ স্টিয়ারিংয়ে, কেউ কারখানায়, কেউ বা অনলাইন গেমের ঠেকেও। আজো সামিউল পরীক্ষা দিতে এসেছিল। আমি জানি মাধ্যমিক পাশ করুক বা না করুক, পরীক্ষাটা ও দেবেই। ... ...
বেশ ক'বছর আগের কথা। স্কুল যাচ্ছি, এমন সময় পথে এক পুরনো ছাত্রের ফোন। সে বেশ ভালো ছাত্র হিসেবেই স্কুলে পরিচিত ছিল। "ম্যাম, প্রাইমারিতে আমার চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু ফোন করে ...এত লক্ষ টাকা চাইছে। ... বাবা বলছে জমি-জিরেত বিক্রি করে হলেও সরকারি চাকরি নিয়ে নিতে। কিন্তু আমার বাবার যে ওইটুকুই আছে..। ম্যাম, একটু বলবেন আমি কি করবো???..." ... ...
হাল আমলের দুজন বাঙালি ডাক্তার, এই গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই, এই কলকাতা শহরেই থাকতেন তাঁরা, এমন কিছু কান্ড ঘটিয়েছিলেন, যা, অকল্পনীয়। একজন দিলীপ মহালনবিশ, যিনি ওআরএস এর আবিষ্কারক। খবরে দেখলাম, মারা গেছেন। মৃত্যুর খবরে নড়েচড়ে বসলাম। কারণ, বেঁচে যে ছিলেন, সেটা জানতামনা। নোবেল-টোবেল তো পাননি। যদিও পাওয়া উচিত ছিল। আর আমরা এমনই জাত, যে, বাইরে থেকে পুরষ্কার নিয়ে না এলে, কাউকে জাতে তুলিনা। ... ...
শেষ বিকেলের আলোয় ডলি রাখাইনের ফর্সা কচিপানা মুখে লালচে আভা। কণ্ঠস্বর বাস্পরূদ্ধ, যেন অস্পষ্ট থেকে অস্পষ্ট হতে থাকে, আচ্ছা, বিপ্লব দা, আপনার তো ঢাকায় অনেক টাকার চাকরি! এ রকম একটা বাড়ি সস্তায় কিনতে পারেন? মানবিক লোকজন এসবের দখল নিলে রাখাইন মালিকটি দেশান্তরে গিয়েও অন্তত নিশ্চিন্ত যে, যাক, পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির নিশানাটুকু তো টিকে থাকবে, সেটুকু তো আর একেবারে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে না! … ... ...
আমাদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল আমাদের দর্শক। নানা কারণে আমাদের সেই শক্তি এখন বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের বাহিরেও আমাদের সমর্থকরা এখন সবচেয়ে অশিক্ষিত খারাপ সমর্থক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা আমাদের নিজেদের খেলোয়াড়দেরও ছাড় দেই না। ট্রল করতে করতে, মজা নিতে নিতে ক্রিকেটাররা যে মানুষ তা ভুলে যাই। ক্রিকেটারদের তো আছেই তাদের পরিবারকেও ছাড় দেই না। আমরা আশা করি আমরা যা ইচ্ছা বলব করব তারা খুব পেশাদার ভঙ্গিতে সব মেনে নিয়ে খেলে যাবে। না, আমরা এখন ওই পর্যায়ে যেতে পারি নাই। আমাদের ক্রিকেটের ইতিহাস খুব বেশিদিনের না। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের আগের প্রজন্মই তো এদেরকে শিখিয়েছে? ... ...